রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১
কুয়াকাটা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী)।।
পটুয়াখালীর মহিপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাছের ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে ১০ টাকার মাছ পানির সাথে নেমে গেছে এমনটাই দাবি করেছেন ঘের মালিক মুসা তালুকদার। শনিবার রাতে এ ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সত্যতা পেয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচর আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন প্রায় ১২ একর জমি নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুসা তালুকদার’র মাছের ঘের। বিশ বছর ধরে ওই ঘেরে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। ওই ঘেরের মালিকানা দাবী নিয়ে স্থানীয় আবুছালেহ তালুকদার, সায়েম তালুকদার ও তাদের জামাতা মিলনের সাথে বিরোধ চলছিল। গত বছর স্থানীয়ভাবে বিরোধের মিমাংসাও হয়েছে।
ঘের মালিক মুসা তালুকদার, শনিবার রাতে হঠাৎ ঘেরের বাঁধ কেটে পানি নামিয়ে দিয়ে ঘের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আবুছালেহ তালুকদার গংরা ।বাঁধ কেটে দেওয়ায় পানি নেমে ঘের শুকিয়ে গেছে। পানির সাথে দশ লাখ টাকার মাছ নেমে গেছে।
স্থানীয় মোসা: হান্না বেগম ও মমতাজ বেগম বলেন , আবুছালেহ তালুকদার গংরা দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। ভয় ভীতি ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে মাছের ঘেরটি দখলে নেয়ার জন্য বাঁধ কেটে দিয়েছেন।
বাঁধ কাটার কথা অকপটে স্বীকার করে আবুছালেহ তালুকদার জানান, এই ঘেরের মধ্যে তার ৯.৮৬ একর জমি আছে। মুছা তালুকদার তার সাথে সমযোতা করে ঘের ভোগদখল করে আসছিল। সমযোতা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় তিনি ঘের দখলে নিয়েছেন। এ বছর তিনি মাছ চাষ করবেন।
তার জামাতা মিলন বলেন, এখানে আমার ১.৩০ একর জমি আছে। ঘেরের মধ্যে মুছার কোন জমি নেই, সে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছিল। আমি এ বছর মাছ চাষ করব। তিনি আরও বলেন, মুসা তালুকদার নিজে মাছ চাষ করেন না। গত কয়েক বছর যাবত অন্যকে লিজ দিয়ে আসছেন। ঘেরে কোন মাছ ছিল না, আরো দুই মাস আগে শুকিয়ে গেছে। এখন আমরা পানি উঠানো নামানোর জন্য সংস্কার কাজ শুরু করেছি।
এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ বায়েজিদ আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘেরের বাঁধ কাটার সত্যতা পেয়েছেন। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।